• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

সড়কের দায়িত্ব নিচ্ছে না কোন দপ্তর ভোগান্তিতে জনগন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

 এস.এম.নুরুজ্জামান, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:

৭ বছরের বেহাল অবহেলিত সড়ক তুমি কার? জনমনে প্রশ্ন। ভোগান্তি যেন কমছে না জনগণের। মানিকগঞ্জের প্রায় সড়কের উন্নতি হলেও পৌর এলাকার আন্দারমানিক জয়নগর সড়কের দায়িত্ব নিচ্ছে না কোন দপ্তর। ভোগান্তি যেন পিছু ছাড়ছে না ওই এলাকাবাসীর। গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে নিয়মিত দুর্ঘটনাসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে যানবাহন চালকেরা। তবুও চোখে পড়ছে না কোন জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ স্থানীয়দের। পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর এলজিইডি ও সওজ অধিদপ্তরের ঠেলাঠেলিতে ৭ বছর ধরে সড়কের বেহাল অবস্থা।

জানা যায়, পৌরসভার অধীনে না থাকা সত্ত্বেও মানুষের ভোগান্তি বিবেচনা করে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কারের জন্য ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। সঠিকভাবে কাজ না হওয়ায় সড়কের আবারও খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে।

মানিকগঞ্জের পৌর এলাকার বেউথা-আন্ধারমানিক সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে এক দিকে যেমন চলাচলে চরম কষ্ট হচ্ছে অন্য দিকে সৃষ্টি হচ্ছে প্রচুর কাঁদা পানি। এতে প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়ছেন সড়ক দিয়ে চলাচলকারী লক্ষাধিক মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা, হরিরামপুর, ঘিওর, শিবালয়, দৌলতপুরসহ প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষের চলাচল এই সড়ক দিয়ে।

আন্ধারমানিক এলাকার বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম আক্কাস জানান,এখন আর জনপ্রতিনিধি হতে জনগণ প্রয়োজন হয় না। তাই কোন জনপ্রতিনিধির আন্দারমানিক জয়নগর সড়ক চোখে পড়ে না। এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার মানুষের যাতায়াত। জেলার সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই এলাকায়। ছাত্রছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়তই স্কুলে যাচ্ছে।  এই রাস্তায় প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছেই। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কে হাটু পানি খানাখন্দ ভরে যায়। আমাদের পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের জনগণ খুব ভোগান্তিতে আছে সড়কের কারণে। কবে দয়া করে কারে আল্লাহ  পাঠাবো ওইদিন হতো সড়ক ভালো হতে পারে?

স্থানীয় আন্ধারমানিক গ্রামের বাসিন্দা ছামাদ বলেন, সড়কে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। বাস-ট্রাক পিকআপ চলাচল করলে ঝাঁকিতে ঘর বাড়ি কেপে উঠে। ঝাঁকিতে রাতে ঘুমাতে পারি না। এই সড়ক দিয়ে চলাচলে বৃদ্ধ মানুষ, শিশু, রোগী ও গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কালীগঙ্গা নদীর তীর থেকে বড় বড় ট্রাকে করে বালু-মাটি পরিবহনের কারণে সড়কের খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। এই শুকনো মৌসুমে সড়কে প্রচুর ধুলাবালি থাকে আর বর্ষা মৌসুম এলেই সড়কে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে যায়। এতে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের বেউথা থেকে আন্ধারমানিক পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকা বেহাল অবস্থা কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বেউথা তিন রাস্তার মোড় থেকে আন্ধারমানিক তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে ইটের সলিং করা হলেও ইট উঠে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। চলাচল করছে ছোট বড় অসংখ্য যানবাহন। সড়কে প্রচুর কাঁদা পানি জমে রয়েছে। এতে অতিষ্ঠ পথচারীসহ যানবাহন চালকেরা।

মানিকগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী বেল্লাল হোসেন বলেন, আন্দারমানিক জয়নগর সড়ক এলজিইডি দেখভাল করে। ইতিমধ্যে ওই সড়ক টেন্ডার হয়েছে এবং  ঠিকাদার নিয়োগ করেছে এলজিইডি।

মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপদ (সওজ)  বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী  মোঃ আব্দুল কাদের জিলানী বলেন,ওই সড়ক আমাদের আওতাধীন নয়। তাই এবিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না।

মানিকগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুল হক বলেন, ওই সড়কটি ইতিমধ্যে টেন্ডার করা হয়েছে। ঠিকাদার নিয়োগের চেষ্টা চলছে। জনস্বার্থে খুব শীগ্রই ওই সড়কের কাজ শুরু হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads